Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

আমাদের অর্জন

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অর্জন

 

গত এক দশকে প্রাণিসম্পদ খাতের উল্লেখযোগ্য অর্জন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের অন্যতম সেবাদানকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিষেবাসমূহ খামারীর আঙ্গিনা পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর গবাদিপশু-পাখির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকার, গবাদিপশুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন, প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন, প্রাণিজাত পণ্যের ভ্যালু চেইন ও বাজার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত এক দশকে প্রাণিসম্পদের Key Performance Indicator (KPI) তথা- দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে বিগত এক দশকে সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ও অর্জনসমূহ নিম্নরূপ :

 

  • ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ উপখাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৩.৮০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১৩.১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই সেক্টরের সাথে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২০ শতাংশ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ শতাংশ মানুষ জড়িত।
  • দুধ উৎপাদন : দুধের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মাননিয়ন্ত্রণ ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা এবং দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তোলায় সুদূর প্রসারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ছিল ১১৯.৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন, যা ২০১০-২০১১ অর্থবছরের তুলনায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৯৩.৩৮মিলি/দিন এ উন্নীত হয়েছে। বিগত দশকে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, জাত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ডেইরি স্টকের সংখ্যাগত উত্থান দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। 
  • মাংস উৎপাদন : সরকারের নীতিগত সহায়তার প্রেক্ষাপটে পোল্ট্রি সেক্টরে অব্যাহত বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিকায়ন ঘটেছে। গত কয়েক বছরে গবাদিপশুর অবৈধ বাণিজ্য রোধের প্রত্যক্ষ প্রভাবে গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণের বাণিজ্যিক উদ্যোগ ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গত এক দশকে মাংস উৎপাদন ৪.২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৪.৪০ লক্ষ মেট্টিক টনে উন্নীত হয়েছে এবং জনপ্রতি প্রাপ্যতা দাঁড়িয়েছে ১৩৬.১৮ গ্রাম/দিন।
  • ডিম উৎপাদন : দেশের আবহাওয়া উপযোগী লেয়ার হাঁস-মুরগির জাত উন্নয়ন, গ্র্যান্ড প্যারেন্ট স্টক ও প্যারেন্ট স্টক খামার স্থাপন, বাণিজ্যিক খামার সম্প্রসারণ এবং মানসম্মত পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদনে বিনিয়োগের ফলে ডিম উৎপাদনে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ডিমের উৎপাদন ছিল ২০৫৭.৬৪ কোটি, যা ২০১০-২০১১ অর্থবছরের উৎপাদনের (৬০৭.৮৫ কোটি) তুলনায় ৩.৪ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ডিমের জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১২১.১৮ টি/বছর এ উন্নীত হয়েছে।
  • গত এক দশকে প্রাণিজাত পণ্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতায়, দেশ বর্তমানে মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে মাংসের চাহিদা শতভাগ পূরণ করে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
  • বিগত সময়ে কোরবানির পশুর বাজার ছিল আমদানি নির্ভর। সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৪ (চার) বছরে দেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দ্বারা কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়েছে। ঈদুল-আযহা/২০২১ উপলক্ষ্যে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত ছিল ১.১৯ কোটি এবং কোরবানি হয়েছে ০.৯১ কোটি। পরিসংখ্যানদৃষ্টে প্রায় ২৮ লক্ষ কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু উদ্বৃত্ত ছিল এবং কোরবানির পশুর বাজারে প্রায় ৪৬৪৩০.০৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। লেনদেনকৃত অর্থের সিংহভাগ ধনীক শ্রেণী থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে।
  • জাত উন্নয়ন ও কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ২০১০-১১ অর্থবছরে গবাদিপশুর সিমেন উৎপাদনের পরিমান ছিল ২৫.৮৪ লক্ষ ডোজ, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৪১ লক্ষ ডোজ। গবাদিপশুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশব্যাপী ৪,৬৯৪ টি কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র/পয়েন্ট এর মাধ্যমে ৪৩.৬৫ লক্ষ গাভীতে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করা হয়েছে।
  • ট্রান্সবাউন্ডারী প্রাণিরোগ প্রতিরোধের জন্য দেশের বিমান, স্থল ও সমুদ্র বন্দরে ২৪টি কোয়ারেন্টাইন স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।
  • মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২টি ভেটেরিনারি কলেজ এবং ৫টি প্রাণিসম্পদ ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়েছে।
  • প্রাণিজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং বিদেশে রপ্তানীর লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মত Accredited এবং ISO সনদ প্রাপ্ত কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
  • বিগত ১৯৫৮ সাল থেকে গবাদিপশুর রিন্ডারপেষ্ট নামক ভাইরাসজনিত ভয়াবহ রোগের প্রকোপে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২ লক্ষ গবাদিপশুর মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় রোগটি নির্মূল করার লক্ষ্যে সারাদেশে গত কয়েক দশকে গবাদিপশুতে রিন্ডারপেষ্ট টিকা প্রয়োগের ফলে ২০১০ সালে World Organization for Animal Health (OIE) কর্তৃক বাংলাদেশকে রিন্ডারপেষ্ট মুক্ত ঘোষণা করে।
  • গবাদিপশুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ০৯টি প্রুভেন বুল (Proven Bull) উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে প্রুভেন বুলে’র সিমেন দ্বারা কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, ফলে দেশে অধিক দুধ ও মাংস উৎপাদনশীল গাভীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • বিগত এক দশকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক মোট প্রায় ৯২ লক্ষ বেকার যুবক, যুব মহিলা, দুস্থ মহিলা, ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষককে গবাদীপশু ও হাঁস-মুরগী পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করে আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি  করা হয়েছে।
  • ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কৃষক খামরীদেরকে প্রাণিসম্পদ লালনপালন, চিকিৎসা সেবাসহ যেকোন ধরনের সমস্যার জন্য যে কোন মোবাইল হতে টোল ফ্রি ১৬৩৫৮ নম্বরে এস.এম.এস করে পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে।
  • সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর পোল্ট্রি ও ডেইরি খামার রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন এবং পশুখাদ্য ও ঔষধ আমদানির এনওসি প্রদান কার্যক্রম ডিজিটালাইজ করা হয়েছে।